Calender


-->

Sunday, November 4, 2018

হাত-পা ফর্সা করার সহজ ৩টি ঘরোয়া উপায়!!

মুখ ফর্সা,কিন্তু হাত-পা শ্যামলা কিংবা সামান্য কালচে বর্ণের- দেখতে একটু খারাপই লাগে তাই না?আপনার মুখের তুলনায় হাত পায়ের রঙ যদি একটুখানি কালো হয়ে থাকে,তাহলে নিশ্চয়ই বেশ লজ্জায় পড়ে যান মাঝে মাঝে?সবসময় নিশ্চয়ই ফুলহাতা জামা কাপড় পরে পুরো হাতদুটো কিংবা পুরোটা ঢেকে রাখে এমন জুতো পরে পা দুটো ঢেকে রাখার চেষ্টা করেন!আর দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই!কেননা আজ আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো আপনার প্রিয় মুখের মতই হাত পা ফর্সা করার দারুণ ৩টি কৌশল!

হাত-পা ফর্সা



মুখ ফর্সা,কিন্তু হাত-পা শ্যামলা কিংবা সামান্য কালচে বর্ণের। দেখতে ত একটু খারাপই লাগে তাই না? আপনার মুখের তুলনায় হাত পায়ের রঙ যদি একটুখানি কালো হয়ে থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই বেশ লজ্জায় পড়ে যান মাঝে মাঝে? সবসময় নিশ্চয়ই ফুলহাতা জামা কাপড় পরে পুরো হাতদুটো কিংবা পুরোটা ঢেকে রাখে এমন জুতো পরে পা দুটো ঢেকে রাখার চেষ্টা করেন! আর দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই! কেননা আজ আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো আপনার প্রিয় মুখের মতই হাত পা ফর্সা করার দারুণ ৩টি কৌশল!
১. লেবুর রস হাত পায়ের রঙ ফর্সা করে
আমরা জানি লেবুর রসে আছে এমন এক ধরনের সাইট্রিক অ্যাসিড,যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।তাই লেবুর রস নিয়মিতভাবে হাত পায়ে ব্যবহার করলে হাত পাও হয়ে উঠবে মুখের মতই উজ্জ্বল।
উপকরণ –
৩-৪ ফোটা লেবুর রস।
পদ্ধতি –
লেবুর রস তুলোয় করে হাতে আর পায়ে লাগিয়ে নিন আর রেখে দিন প্রায় ১০ মিনিট মতো।তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন।তবে এই কাজটি অবশ্যই আপনাকে করতে হবে রাতের বেলায়।কারণ,লেবুর রস লাগিয়ে আপনি রোদের মধ্যে গেলে ত্বকের রঙ ফর্সা হওয়ার বদলে উল্টো কিন্তু কালো হয়ে যেতে পারে!
২. ত্বক ফর্সা করতে লাগান মধু ও শসা
মধু ও শসার রস একসাথে মিশিয়ে তা ত্বকে ব্যবহার করুন।আপনার হাত পা শুধু উজ্জ্বলই হবে না,বরং হাত পায়ের খসখসে ভাব দূর করে তাকে করে তুলবে কোমল ও মসৃণ।
উপকরণ –
৩ চামচ মধু,৫ চামচ শসার রস।
পদ্ধতি –
শসা থেকে আগে রস বের করে নিন।তারপর তার সাথে মধু মিশিয়ে নিন।এবার এই মিশ্রণ হাতে আর পায়ে মাখিয়ে হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করে নিন।তারপর ধুয়ে নিন।এটা সপ্তাহে দু’দিন করুন।
৩. টম্যাটো ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন!
রূপচর্চায় টম্যাটো ব্যবহার হয়ে থাকে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে-জানেন নিশ্চয়ই?তাই আপনার হাত-পায়ের কালচে ভাব দূর করে এগুলোকে উজ্জ্বল ও চকচকে করে তুলতে টম্যাটো তো ব্যবহার আপনাকে করতেই হবে!
উপকরণ –
গোটা একটা টম্যাটো পেস্ট।
পদ্ধতি –
টম্যাটো পেস্ট করে সেটি হাতে ও পায়ে লাগিয়ে রাখুন টানা ১৫ মিনিট।এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।অল্প কদিনের মধ্যেই পরিবর্তনটা আপনি নিজেই টের পাবেন!
ব্রণ সমস্যায় যে পাঁচটি কাজ ভুলেও করবেন না!
ব্রণর সমস্যায় একবারও পড়েননি এমন মানুষ হাতে গোনা৷ এই সমস্যা কখনও প্রকট হয়ে দেখা দেয়, কখনওবা অজান্তেই হয়ে যায় ভ্যানিশ৷ কখনওবা কারও কারও মুখে নিজেদের ছাপ রেখে যায় এই ব্রণ৷ আর এর হাত থেকে বাঁচতে কত যে কতো খরচ করে থাকে সবাই তার হিসেব দেওয়া ভার৷ কিন্তু জানেন কি ব্রণ মুখে হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়? রইল তেমনই ৫টি টিপস
১) সর্বপ্রথম মাথায় রাখতে হবে যে এই ব্রণ কোনওভাবে যেন আঘাত না পায়৷ বিশেষ করে আপনার নখ এর থেকে দূরে রাখতে হবে৷ নখের খোঁচা বা আঘাতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমনকি বিশ্রী রকমের দাগও হয়ে যেতে পারে আপনার মুখে৷
২) অনেকেরই বার বার মুখ পরিষ্কার করার অভ্যাস থাকে৷ এর জন্য ঘন ঘন বাজার চলতি ফেস ওয়াশ ব্যবহার করে ঘষে ঘষে মুখ ধুয়ে থাকেন৷ এর ফলে পিম্পলগুলি থেকে রক্ত বেরোতে পারে বা ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে এমনকি দাগও থেকে যেতে পারে৷ তাই পিম্পল বা ব্রণ হলে সাবধানে মুখ ধুতে হবে এবং বেশিবার ধুলে চলবে না৷
৩) ব্রণ দূর করতে অনেকেই নানা রকম ক্রিম থেকে ঘরোয়া টোটকা বা পেস্ট ব্যবহার করে থাকে৷ চলে নানা এক্সপেরিমেন্টও৷ কিন্তু এই সময় ত্বককে বিশ্রাম দিন এবং অযথা বিভিন্ন জিনিস লাগিয়ে বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলবেন না৷
৪) পেট অপরিষ্কার থাকা ব্রণ হওয়ার পিছনে বড় ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়৷ তাই খাবার দাবার বুঝে খান এবং অবশ্যই শরীর থেকে নিয়মমতো বর্জ্য বের করুন৷ পেট পরিষ্কার হলে তার প্রতিফলন মুখে আপনিই টের পাবেন৷
৫) মনে করা হয় পেটের পাশাপাশি মাথাও যদি অপরিষ্কার থাকে তাহলেও কিন্তু ব্রণ হতে পারে৷ তাই খুশকি যেন মাথায় একেবারেই না হতে পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে আপনাকেই৷

তৈরি করুন শাহী মোরগ পোলাও


তৈরি করুন শাহী মোরগ পোলাও
শাহী মোরগ পোলাও খুবই সুবাদু একটি খাবার যা খেতে সবাই খুব পছন্দ করে। কিন্তু রেসিপি না জানা থাকায় তৈরি করে খাওয়া হয় না। তাই আজ আপনাদের দিচ্ছে শাহী মোরগ পোলাও রান্নার সহজ রেসিপি। এই রেসিপি তৈরি করা সহজ আর ঝামেলা মুক্ত এবং তৈরি করতে সময়ও লাগে কম। এখন ঘরেই তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিন সবাইকে। তাহলে জেনে নিন রেসিপি আর তৈরি করুন মিজাদার শাহী মোরগ পোলাও।
উপকরণ :
দেশি মোরগ ২ টা
পোলাও এর চাল ১ কেজি
পেয়াজ কুচি ১ কাপ
পেয়াজ বাটা ১/২ কাপ
টকদই ১/২ কাপ
আদা বাটা ২ চা চামচ
রসুন বাটা ২ চা চামচ

ধনিয়া গুড়া ১ চা চামচ
মরিচ গুড়া ১ চা চামচ
এলাচ দারুচিনি ৩–৪টা করে
তেজপাতা ২টা
জায়ফল জয়ত্রী বাটা ১/২ চা চামচ
মাওয়া ১/২ কাপ
ঘি ১/৪কাপ
তেল ১/২ কাপ
লবণ পরিমান মত

কাচামরিচ ৭-৮ টা
বাদাম ৮-১০ টা
কিশমিশ ৮-১০ টা
চিনি ১ চা চামচ
কেওড়া জল ২ চা চামচ 
প্রণালি :
দেশি মোরগ চার বা আট টুকরা করে কেটে ধুয়ে নিন। পোলাও এর চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। হাড়িতে তেল গরম করে পেয়াজ কুচি ভেজে বেরেস্তা করে তুলে রাখুন। ওই তেলে এলাচ দারুচিনি তেজপাতা পেয়াজবাটা দিন। ৩-৪ মিনিট পর আদা, রসুন, ধনে ও মরিচ গুড়া দিয়ে লবণ দিয়ে দিন। এরপর মোরগের কাটা পিস জায়ফল ও জয়ত্রী বাটা দিয়ে ঢেকে দিন। ভালোমত কষান। কষানো হয়ে গেলে টকদই দিন। মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। 
এরপর মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে হাড়ি থেকে মোরগের পিসগুলো আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। বাকি তেল মশলা তে ঘি ও চাল দিয়ে কষান। চালের  দ্বিগুন গরম পানি দিন। পোলাও হয়ে এলে মাঝখান থেকে চাল সরিয়ে তুলে রাখা মাংস দিন। পাশ থেকে পোলাও তুলে মাংস ঢেকে দিন। বেরেস্তা, মাওয়া, চিনি, কেওড়া জল, কাচামরিচ বাদাম কুচি ছিটিয়ে দমে রেখে দিন ১/২ ঘণ্টা। তার পরা গরম গরম পরিবেশন করুন দারুন স্বাদের শাহী মোরগ পোলাও। 
তথ্য ও ছবি : ইনটারনেট

Wednesday, October 24, 2018

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করুন সহজ ঘরোয়া উপায়ে

মুখের অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা নিয়ে ঝামেলায় আছেন অনেকেই। কারো গালে-চিবুকে-ঠোঁটের ওপরে,কারো আবার কপাল জুড়ে বিচ্ছিরি কালো লোম। নারীরা অনেকেই বিউটি পার্লারে গিয়ে ব্লিচ বা থ্রেডিং করার,পুরুষেরা তো সেটাও পারেন না। আর লেজার পদ্ধতি যথেষ্ট ব্যয়বহুল একটি ব্যাপার। আজ দেয়া হলো,ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার একেবারেই সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি। লোম তো দূর হবেই হবে,সাথে এমন বাড়তি অবাঞ্ছিত লোম গজানো বন্ধও হয়ে যাবে চিরতরে।


ছবি সংগৃহীত
মুখের অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেক নারী এবং অনেক পুরুষও। কপালে বা গালে, ঠোঁটের উপরে বাড়তি লোম সৌন্দর্যটাই যেন নষ্ট করে দেয়। সব সাজগোজ, ত্বকের যত্ন সবই বৃথা হয়ে যায় যদি মুখের ত্বকে অবাঞ্ছিত লোম থাকে। আজকাল অনেক ধরনের ট্রিটমেন্ট আছে ত্বক থেকে এই লোম দূর করার জন্য। কিন্তু বেশিরভাগই বেশ কষ্টদায়ক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অনেকেই এসব সাত-পাঁচ ভেবে মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম নিয়েই থাকেন এবং মনকষ্টে ভোগেন। তাদেরকে বলছি, মন খারাপ করার কোন প্রয়োজনই আর নেই। মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া বেশ কিছু সহজ উপায় আছে। পুরোটাই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে করা হয় বলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। কষ্টদায়ক হওয়ার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মুখের লোম উঠা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের জন্যও ভালো এই উপায় গুলো। তাহলে জেনে নিন অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ ঘরোয়া কিছু উপায়।

ময়দা ও দই এর প্যাক

ময়দা ও দই-এর এই প্যাকটি ত্বকের লোমের রঙের পরিবর্তন করে এবং ওঠার পরিমাণ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো। একটি বাটিতে এই সব উপাদান নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা না হয়। থকথকে ঘন হলে ভালো কাজে দেবে। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগান। বিশেষ করে নাকের নিচে ও থুতনিতে এবং কপালে। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ভালো মতো ঘষে মুখ থেকে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে ৩/৪ দিন এই প্যাকটি লাগানোর চেষ্টা করবেন। কিছুদিনের মধ্যেই অবাঞ্ছিত লোম দূর হবে।

চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব

লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। মুখের লোম দূর করা ও লোমের ঘনত্ব কমাতে লেবুর রসের জুড়ি নেই। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ত্বকের রোমকূপ থেকে লোম দূর হতে সহায়তা করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে লাগবে ৩ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ পানি। প্রথমে সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। এরপর এই মিশ্রণ মুখের ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধোয়ার সময় ভালোভাবে ঘষে তুলুন। এতে লোম দূর হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এভাবে করুন। দ্রুত মুখের লোম থেকে মুক্তি পাবেন।

কফি স্ক্রাব

কফির স্ক্রাব সব চাইতে বেশী কার্যকরী একটি উপায় মুখের লোমের হাত থেকে রক্ষা পেতে। ক্যাফেইন ত্বকের গভীরে ঢুকে লোম দূর হতে সাহায্য করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ২ টেবিল চামচ কফি, ১ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। একটি বাটিতে প্রথমে কফি ও চিনি মিশিয়ে নিন। এতে মধু ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশান। কফি ও চিনি পুরো পুরি গলবে না। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে খানিকক্ষণ ম্যাসাজ করুন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

দ্রুত চুল লম্বা করার উপায় | Druto Chul Lomba Korar Upay

  • তেল ম্যাসাজ করুনঃ
    চুলের বৃদ্ধিতে সব চাইতে কার্যকরী উপায় হচ্ছে তেলের ম্যাসাজ। নারিকেল তেল,অলিভ অয়েল চুলের জন্য অনেক ভালো। এই দুইটি তেল একসাথে মিশিয়ে কিংবা আলাদা একটি তেল চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • ডিমের হেয়ার মাস্কঃ
    ১ টি ডিম, পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। একটি শাওয়ার ক্যাপ কিংবা কাপড় দিয়ে ৩০ মিনিট চুল ঢেকে রাখুন। এরপর হাল্কা শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
  • দুধ বা টক দইঃ

দুধ বা দই চুলকে নরম আর মসৃণ করে চুলের রুক্ষতা দূর করে। ফলে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল ফাটবে না। নারিকেল তেল, আমণ্ড অয়েল (কাঠবাদামের তেল), আধা কাপ দুধ কিংবা টক দই মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিন এবং পরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালো করে লাগিয়ে ১ থেকে ২ ঘণ্টা রাখুন। দ্রুত ভালো ফল পাবেন।
  • লেবুর রসঃ
    চুলের সৌন্দর্য চর্চায় লেবুর রসের ব্যবহার নানাভাবে হয়। লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ পানি মেশান। এবার চুলে ভালো করে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • চায়ের লিকারঃ
চুল বৃদ্ধিতে চায়ের লিকারের তুলনা হয় না। কারণ এটি চুলের জন্য খুব ভালো কন্ডিশনার। একটি পাত্রে চায়ের লিকার নিয়ে তাতে চুল ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট অথবা গোসল শেষে লিকারটি দিয়ে আস্তে আস্তে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ২/৩ দিন চায়ের লিকার ব্যবহার করুন আপনার চুলে।ভিটামিন-ই ক্যাপস্যুলঃ
চুলের বিশেষ যত্নের জন্য চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অলিভ অয়েল নিয়ে এতে ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে নিন।                  এরপর একে হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভালো                ফলাফলের জন্য পুরোরাত এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে রেখে সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহার                    করুন।
এভাবে আপনি ঘরে বসে সহজে আপনার চুল সুন্দর করতে পারবেন এবং চুল দ্রুত বড় হবে।
সতর্কতাঃ
  • চুল মোছার জন্য নরম তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। চুল বেশি ঘষে ঘষে মোছা যাবেনা। এতে চুল ফেটে যায় বেশি। ভেজা চুল আস্তে আস্তে মুছতে হবে।
  • ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না।
  • চুল শুকাতে, চুল ভালোভাবে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে, ফ্যানের বাতাসে বা আলো বাতাসপূর্ণ জায়গায় শুকাতে হবে। কোনক্রমেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যাবে না।
  • ইলেক্ট্রিক সকল যন্ত্র ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
  • চুলের রুক্ষতা কমাতে এবং আগা ফেটে যাওয়ার প্রবণতা রোধ করতে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করা বাদ দিতে হবে। কারণ চুল ধোয়ার ফলে, মাথার ত্বকের তেলও ধুয়ে যায়। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা উচিত নয়। শ্যাম্পুর রাসায়নিক উপাদানও চুলের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

প্রিয় মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হওয়ার উপায়

প্রিয় মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হওয়ার উপায়

আপনার প্রিয় মানুষের কাছে নিজেকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করার উপায় খুঁজছেন?‌ তবে প্রথমেই বলি বেশি সাজগোজ বা ফিটফাট হয়ে থাকা, খুব ভালো আচার আচরণ অবশ্যই ভালো। পাশাপাশি মুখে বড় বড় কথা নয়, অনেক সময় ছোট কিছু কাজই একজন মানুষকে আকর্ষণীয় করে তোলার পক্ষে যথেষ্ট। অনেক ছেলেরা মনে করেন মেয়েদের মন পাওয়ার জন্য এবং মেয়েদের চোখে আকর্ষণীয় হয়ে উঠার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। আসলে কিন্তু তেমন নয়। কারণ–
  • ছেলেদের পছন্দ না হলেও‌, সেই সকল পুরুষদের বেশি পছন্দ করেন যখন কোনো মেয়ে কোন কারণে রেগে গেলে বা অভিমান করলে যারা ক্ষেপে যান না। বরং প্রিয় মানুষের মুড ঠিক করার জন্য কাছে এগিয়ে যান।
  • পোশাক আশাক এবং নিজের লুকের দিকে ভালো নজর এমন পুরুষই নারীর অনেক পছন্দের। পাগলাটে ধরণের মানুষের স‌ঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগলেও জীবন কাটানো পছন্দ করেন না অনেকে।
  • খুব খারাপ সময় মানসিক অস্থির কমাতে একটু নির্ভরতার মধুর হাসি দিতে পারে যেসব পুরুষ, নারীদের কাছে সব সময়েই অনেক বেশি আকর্ষণীয় তারা। হাসি দেখলে কিছুক্ষণের মধ্যে অস্থিরতা ভুলে যায়।‌‌
  •  ‌যে সকল পুরুষ মেয়েদর সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেন মেয়েদের কাছে তাঁরা বেশি আকর্ষণীয়। মেয়েরা এতে অনেক বেশি ভরসা এবং আত্মবিশ্বাস খুঁজে পান। অনেকের কাছে এই বিষয়টিই বেশি রোম্যান্টিক।
  • এমন অনেক সৌজন্য মূলক কাজ, যেমন কোথাও গেলে দরজা খুলে ধরা বা রেস্টুরেন্টে গেলে চেয়ার টেনে বসতে দেওয়া, রাস্তা পার করে দেওয়ার সময় হাত ধরা এ ধরনের ছোট ছোট কাজগুলো মেয়েদের অনেক বেশি আকর্ষণ করে।
  • শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, মেয়েরা ছেলেদের ফুলহাতা শার্টের হাতা ফোল্ড করে কুনুই পর্যন্ত গুটিয়ে রাখার প্রতি অনেক বেশিই আকর্ষণ বোধ করেন।
  • সব সময় প্রেমিকা বা স্ত্রীর খোঁজ খবর নেওয়া পুরুষকে নারীদের অনেক বেশি পছন্দ করতে দেখা যায়। যিনি সব সময় সন্দেহ ‌না করে স্ত্রী বা প্রেমিকার নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় এনে কাজ করেন তারা নারীদের কাছে অনেক কাছের হন।
  • যেসব পুরুষেরা শিশুদের স‌ঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন এবং শিশুরাও তাদের অনেক পছন্দ করেন তারা নারীদের চোখে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
  • এআর/০০:৩২/১০ অক্টোবর

Monday, October 22, 2018

সুন্দর ত্বকের জন্য প্রতিদিনের রুটিন

সুন্দর ত্বকের যত্নে প্রয়োজনীয় সকল কাজ আপনি করছেন তো? সঠিকভাবে নিচ্ছেন তো ত্বকের যত্ন? সত্যি কথাটা হচ্ছে, আমরা বেশিরভাগ মানুষই নিজের ত্বকের সঠিক যত্ন নেই না। বিশেষ করে মেয়েরা অনেক রূপচর্চা করলেও প্রতিদিনের সঠিক যত্নটি আসলে সঠিক নিয়মে করতে পারি না। আসুন, আজ জেনে নেয়া যাক ত্বকের যত্নের খুব সহজ একটা রুটিন। এই সহজ রুটিন মেনে চললেই আপনার ত্বক থাকবে দারুণ সুন্দর ও প্রাণবন্ত সবসময়।
 একটু সুন্দর, দাগহীন, মোলায়েম ত্বক কে না চান। আপনিও চান নিশ্চয়ই? কিন্তু একবার ভাবুন তো, এই সুন্দর ত্বকের যত্নে প্রয়োজনীয় সকল কাজ আপনি করছেন তো? সঠিকভাবে নিচ্ছেন তো ত্বকের যত্ন? সত্যি কথাটা হচ্ছে, আমরা বেশিরভাগ মানুষই নিজের ত্বকের সঠিক যত্ন নেই না। বিশেষ করে মেয়েরা অনেক রূপচর্চা করলেও প্রতিদিনের সঠিক যত্নটি আসলে সঠিক নিয়মে করতে পারি না। আসুন, আজ জেনে নেয়া যাক ত্বকের যত্নের খুব সহজ একটা রুটিন। এই সহজ রুটিন মেনে চললেই আপনার ত্বক থাকবে দারুণ সুন্দর ও প্রাণবন্ত সবসময়।

১) ঘুম থেকে উঠেই যা করবেন, সেটা হলো মুখ ভালো করে ধুয়ে নেয়া। যেহেতু রাতে মুখটা পরিষ্কার করেই ঘুমাতে যান, তাও সকালে উঠে ক্লিনজিং ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুছে হালকা ময়েসচারাইজার লাগিয়ে নিন। ২) মেকআপ করুন বা না করুন, বাইরে বের হবার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। ৩) অনেকে সারাদিন মুখ মোছার জন্য ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করেন। সম্ভব হলে এটা করবেন না। তাঁর বদলে বরং পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বেশী সাবান বা ফেসওয়াশও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। প্রত্যেকবার মুখ ধোবার পর সানস্ক্রিনকে ভুলবেন না যেন। ৪) দিনে অবশ্যই ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি বা তরল খাবার খাবেন। প্রতিদিন কমপক্ষে এক বাটি সবজি ও একটি মৌসুমি ফল খাবেন। ৫) বাসায় ফিরেই মুখটা ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তবে ধোয়ার আগে তুলোতে ক্লিনজিং লোশন বা টোনার নিয়ে মুখটা ভালো করে ডিপ ক্লিন করুন। তারপর একটি পছন্দসই ফেসপ্যাক লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে দুদিন প্যাকের বদলে স্ক্রাব ব্যবহার করবেন। এরপর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ৬) রাতে শোবার আগে অবশ্যই মুখে ধুয়ে ময়েসচারাইজার লাগিয়ে নিন। ব্যবহার করতে পারেন ভালো নাইটক্রিম।

মডেল- রাখি

চোখের পাপড়ি বড় ও ঘন করুন প্রাকৃতিক উপায়ে


চোখের পাপড়ি ঘন ও একটু বড় হলে পুরো চোখের আকারই বদলে যায়। আমরা কেউ কেউ মেকআপের মাধ্যমে চোখের পাপড়ি বড় করে থাকি। আবার কেউ কেউ মোটা করে মাশকারা ব্যবহার করেন। অনেকে আবার ফলস আইল্যাশ লাগান। ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপায়ে খুব সহজেই চোখের পাপড়ির আকার বড় করে নেওয়া সম্ভব। ব্যাপারটি একেবারেই কঠিন কিছু না। আসুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে চোখের পাপড়ি বড় ও ঘন করবেন প্রাকৃতিক উপায়ে।
ক্যাস্টর অয়েল :
বাজার থেকে সব থেকে ভালো ব্র্যান্ডের প্রাকৃতিক ক্যাস্টর অয়েল কিনে নিন। যেহেতু চোখের ব্যাপার তাই খারাপ জিনিস না কেনাই ভালো। এবার প্রতিরাতে ভালো করে মেকআপ পরিষ্কার করে, মুখ ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ঘুমুতে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে অল্প পরিমাণে ক্যাস্টর অয়েল চোখের পাতায় লাগিয়ে নিন, যাতে অয়েল ভালো করে শুষে নিতে পারে আপনার চোখের পাতার ত্বক। সকালে ভালো মতো চোখের পাপড়ি ধুয়ে ফেলুন। 


পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার :
চোখের পাপড়ির আকার বড় করার জন্য রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে মাশকারার ব্রাশে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে মাশকারা দেয়ার মতো চোখের পাপড়িতে লাগিয়ে রাখুন। পুরো রাত এভাবে রেখে সকালে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। 
লেবুর খোসার ব্যবহার :
চোখের পাপড়ি বড় করার জন্য লেবুর খোসার ব্যবহার করা যায়। সামান্য অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েলে লেবুর খোসা দিয়ে তা গরম করুন। ৩-৪ বার গরম করুন এবং লক্ষ্য রাঙ্খুন তেল যেনো ফুটে না যায়। এই তেলটি মাশকারা ব্রাশের সাহায্যে মাশকারা দেয়ার মতো চোখের পাপড়িতে লাগিয়ে নিন। পুরো রাত এভাবে রেখে সকালে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। 

অলিভ অয়েলের ব্যবহার :
একটি পুরাতন মাশকারার ব্রাশ পরিষ্কার করে নিন। রাতে ঘুমুতে যাওয়ার সময় মাশকারার ব্রাশ দিয়ে অলিভ অয়েলে ডুবিয়ে মাশকারা দেয়ার মতো চোখের পাপড়িতে লাগান। সকালে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ২-৩ মাসের মধ্যেই পরিবর্তন দেখতে পাবেন । একই রূপে ক্যাস্টর অয়েল ও আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারবেন। 
এছাড়া
চুল বৃদ্ধির জন্য চুল সঠিকভাবে এবং নিয়মিত আঁচড়ানো যেমন প্রয়োজন, তেমনি চোখের পাপড়িও বৃদ্ধি সম্ভব। নিয়মিত চোখের পাপড়ি আঁচড়াবেন।

অতিরিক্ত মাত্রায় আইশ্যাডো কালার ব্যবহার করবেন না। এতে চোখের পাপড়ির ক্ষতি হয়।
ভিটামিন ‘ই’ চোখের পাপড়ি বড় করতেও সাহায্য করে।
তথ্য ও ছবি : ইন্টারনেট